দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কৌশল ও নীতিনির্ধারণে নির্বাহী কমিটির যে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি তাতে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটি জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির কৌশল ও নীতিনির্ধারণে নির্বাহী কমিটির তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হয় মঙ্গলবার।
শুরুর দিনই বিএনপির শীর্ষ নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার পরামর্শ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানকে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক মিটিয়ে ফেলার তাগিদও দিয়েছেন নেতারা।
পাশাপাশি সভায় নেতারা মূলত তিনটি বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দেন। তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রথমত এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে দরকার হলে আবারও ২০১৩ সালের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া উচিত। তৃতীয়ত, আন্দোলন করতে ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে হবে।
প্রথম দিনের সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চারটি শর্ত দেন। এগুলো হলো, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ সাংবদিকদের বলেন, ‘বিএনপির এ সমস্ত বক্তব্য আসলে নতুন কিছু নয়। তারা হর হামেশাই দিচ্ছেন। তাদের বিভিন্ন নেতারা গণমাধ্যমের সামনে এসব বক্তব্য দিয়ে আসছেন এক দশকের বেশি সময় ধরে।
‘বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, তারা মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতির পথ অনুসরণ করে আসছিলেন। এ কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। সেই সত্য মেনে নিয়ে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে চলমান সভায় বিএনপি উপকৃত হবে।’
এ সময় দলটির নেতাদের ‘বিদেশপ্রীতি’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে এত বিদেশপ্রীতি কেন সেটি হচ্ছে একটি প্রশ্ন। দেশে কোনো ঘটনা ঘটলে অ্যাম্বাসিতে দৌড়ায় আর কারো একটু জ্বর হলে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। বেগম খালেদা জিয়া আদালতে কোন জামিন পাননি। তিনি খালাস পাননি।
‘প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা তার ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে কারাগারের বাহিরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এজন্য তো সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত বিএনপির। খালেদা কয়েকদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সে সময় ডাক্তাররা বলেছেন তিনি সুস্থ্য আছেন।’