বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ি মোবাইল ল্যাপটপ ফেরত চাই: পরীমনি

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:০৮

পরীমনি আদালতকে বলেন, ‘গাড়িটি আমার। গাড়ির সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মামলাটির হাজিরা ছিল বুধবার। এ জন্য বেলা পৌনে ১১টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে আদালতে যান তিনি।

এরপর ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে পরীমনির মামলার শুনানি হয়।

অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী পরীমনির সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দ জিনিস ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

এ প্রসঙ্গে পরীমনি আদালতকে বলেন, ‘গাড়িটি আমার। গাড়ির সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এ ছাড়া চাবির বক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।’

পরীমনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়। আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোনো কিছুই নেই।’

এ প্রসঙ্গে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আদালতে দুটি আবেদন করেছি। একটি পরীমনির ব্যবহৃত সাদা গাড়িটি জিম্মায় নেয়ার এবং আরেকটি তার মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ জিনিসপত্রের। এগুলো পরীমনির নিজের ব্যবহৃত জিনিস। যেহেতু তিনি একজন চিত্রনায়িকা। অন্ততপক্ষে গাড়িটি যেন তার জিম্মায় দেয়া হয়।’

রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, ‘যেহেতু গাড়ির কোনো কাগজপত্র নেই, তাই যাচাই-বাছাই করা সম্ভব না। তাদের আবেদন নামঞ্জুর করার দাবি জানাচ্ছি।’

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বেলা ১টার আগেই আদালত থেকে চলে যান পরীমনি।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড দেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড দেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করলে পরদিন কারামুক্ত হন।

এ বিভাগের আরো খবর