করোনা প্রতিরোধী টিকা দেশে উৎপাদন করতে প্রস্তুতি চলছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি ডোজের অর্ডার দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বুধবার বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা শুধু ভ্যাকসিন আনছি না, দেশে উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে।’
আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেড় কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ করে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। চীন থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেখলাম এই টিকা আনতে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টাকা যত লাগুক টিকা নিয়ে আনতে হবে।’
সবার জন্য টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জোট ‘কোভ্যাক্স’ থেকে ৫ কোটি টিকা পাওয়া যাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে। ভ্যাকসিন গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সেবাদানের সক্ষমতার উন্নতি হয়েছে সেটা করোনার সময় বোঝা গেছে। কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যায়নি, যেতে পারেননি। দেশে মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে উন্নত মানের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
কোভিড, নন-কোভিড, ডেঙ্গু- সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দেশে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ১২০টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি। করোনার চিকিৎসা উন্নত হয়েছে বলেই আজ মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫-এ নেমেছে। যেখানে আমেরিকায় এখনও দেড় হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। ভারতেও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’