বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এত অনলাইনের প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৮

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এত বেশি অনলাইনের প্রয়োজন নেই। থাকা সমীচীনও নয়। অনলাইন বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেটি আমরা গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনও নোটিশ পাইনি। আদালতের নির্দেশ পেলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেব।’

অনিবন্ধিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশের পরের দিন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও একই সুরে কথা বলেছেন। দেশে এত বেশি অনলাইন থাকার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এত বেশি অনলাইনের প্রয়োজনও নেই। থাকা সমীচীনও নয়।’

এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি সামনে এনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আদালতের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্যে কাজ করে এবং ব্যাংকের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজনও নাই।

‘যার যেমন ইচ্ছা একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং যেমন ইচ্ছা তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যবহার করবে, অন্যের চরিত্রহনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে বা স্বার্থ সংরক্ষণে লেখালেখি হবে এটি কখনও সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ একটি সহায়ক আদেশ।’

আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করা হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর আদালত যে সময় সীমা নির্ধারণ করেছে আমরা অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করব। তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। এটি আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি। আমরা আদালতের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করব।

‘কিছু অনলাইন বন্ধও করব, পাশাপাশি আদালতের নজরে এটিও আনব যে রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাচাই বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া কতটুকু সমীচীন এটিও ভাবার বিষয়। এটি আমরা আদালতে বলব।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের এ আদেশ আমরা শুনেছি, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি। এর অফিসিয়াল কপি এখনও আমরা পাইনি। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া আর এটি ভবিষ্যতেও হবে। ছয় মাস পরে হবে, এক বছর পরে হবে আবার পাঁচ বছর পরেও হবে।

‘কারণ এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পাবে না বিষয়টি তেমন নয়। তেমন কোনো নিয়ম নেই। কিংবা আজ যে পত্রপত্রিকাগুলো রয়েছে ভবিষ্যতে এগুলো ছাড়া আর কোনোটা বের হবে না তেমন নিয়ম কোথাও নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

একইভাবে অনৈতিক কাজে জড়িত আইপি টিভির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনলাইন যেভাবে আমরা রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি একইভাবে ইউটিউব চ্যানেল বা আইপি টিভিকেও রেজিস্ট্রেশন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখনও এটা শুরু হয়নি, তবে খুব শিগগিরই শুরু হবে। আমরা আশা করেছিলাম গতমাসেই পারব, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট এখনও পাইনি।

‘এই যে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি করার যে একটি হুজুক তৈরি হয়েছে এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। এখানেও যেগুলো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, নিজেদের রেগুলার টেলিভিশন চ্যানেলের মতো জাহির করছে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রেও আদালতের একটি অবজর্ভেশন রয়েছে।’

এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ দেশের সব অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের আদেশ দেয়।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত।

সেই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল অনলাইন মাস মিডিয়া পলিসি ২০১৭’ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত এবং অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকাগুলোকে কেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়।

পাশাপাশি অপেক্ষমাণ থাকা অনিবন্ধিত পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

এ বিভাগের আরো খবর