দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির কৌশল ও নীতিনির্ধারণে নির্বাহী কমিটির তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠক বুধবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বেলা সাড়ে ৩টায় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহসম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন পর শারীরিক উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই নেতা-কর্মীরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন।
‘বৈঠকে আন্দোলন-সংগ্রাম, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রীর মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সবার প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক কৌশল ও নীতি চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে ‘
কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ও রূপরেখা অনুযায়ী আজকের বৈঠক হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে তিন দিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার কমিটির প্রথম দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত হন। এ ছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের শেষ দিনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৈঠকের প্রথম দিন বিএনপির শীর্ষ নেতারা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক মিটিয়ে ফেলার তাগিদও দিয়েছেন নেতারা।
পাশাপাশি সভায় নেতারা মূলত তিনটি বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দেন। তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রথমত এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে দরকার হলে আবার ২০১৩ সালের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া উচিত। তৃতীয়ত, আন্দোলন করতে ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে হবে।
প্রথম দিনের সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চারটি শর্ত দেন। এগুলো হলো, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার।
এরপর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।