জামালপুরের ইসলামপুরে তিন মাদ্রাসাছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে।
নিখোঁজ এক ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার রাত মধ্যরাতে ইসলামপুর থানায় মামলা করলে গ্রেপ্তার করা হয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্যসহ চার শিক্ষককে।
তারা হলেন গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমি মাদ্রাসা মাদ্রাসার মোহতামিম আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন। অজ্ঞাতপরিচয় তিন থেকে চারজনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘তিন ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার মাদ্রাসার মোহতামিমসহ চার শিক্ষককে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
‘এমন সময় নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন থানায় এসে মামলা করেন। আটক চারজনকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (বুধবার) কিছুক্ষণের মধ্যে আদালতে পাঠানো হবে। আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার, গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা ও একই এলাকার সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু।
নিখোঁজ মীম আক্তারের মা হাসিনা বেগম জানান, মীম ওই মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ১৫ দিন আগে তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসেন তিনি। রোববার দুপুরে মীমের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান।
নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৯ দিন আগে মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসি। এখনও মেয়ের সন্ধান পাইনি।’
সূর্যবানুর বাবা সুরুজ্জামান বলেন, ‘১৫ দিন আগে মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান মিলছে না। আমরা আমাদের মেয়ে চাই।’
আটক হওয়ার আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, মাদ্রাসাটি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা রাতে সেখানেই থাকে। ঘটনার দিন ভোররাতে শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জাগানো হয়। অন্য ছাত্রীর মতোই ওই তিনজনও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।