জমি থেকে গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে পরস্পরকে থাপ্পড় মেরেছেন দুই প্রধান শিক্ষক। এতে এক শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট বাজার মসজিদের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
দুই প্রধান শিক্ষকদের একজন সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আলমগীর হোসেন ও আরেকজন সোনাহাট সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলফাজ আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, দুই শিক্ষকের জমি একই সীমানায়। ওই জমির গাছ ও বাঁশ কাটা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সোনাহাট বাজারের একটি ফলের দোকানের সামনে দুইজনের তর্কাতর্কি হয়।
এর একপর্যায়ে আলমগীর আলফাজের গালে চড় মারেন। এরপর আলফাজও আলমগীরকে মারেন। কয়েকবার তাদের মধ্যে হাতাহাতি চলে। এ সময় আলফাজের চশমা ভেঙে চোখের নিচে কেটে যায়।
ওসি আরও জানান, বলদিয়া ইউনিয়নের ব্যাপারীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজদার হোসেন সেখানে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। আলফাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।
আলফাজ আলম জানান, আলমগীরের বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমি রয়েছে তার। বেশ কিছুদিন আগে সেই জমিতে লাগানো কয়েকটি গাছ কেটে নেন আলমগীর। আবারও ১২ সেপ্টেম্বর জমিতে থাকা প্রায় ১০০ বাঁশ কেটে নেন। তাকে না জানিয়ে গাছ কেটে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে আলমগীর তার ওপর চড়াও হন।
এ বিষয়ে জানতে সোনাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’