নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কেন্দ্রীয় পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি এখন ছোটখাট একটা ডোবা। এর উপর ভাসছে কচুরিপানা, পাওয়া যায় মাছও।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা চলে গেলেও জলাবদ্ধতা কমেনি সেখানে।
উপজেলার একমাত্র খেলার মাঠটি প্রতি বর্ষাতেই ডোবায় পরিণত হয়। স্থানীয়রা সেখানে মাছও ধরেন। সেই পানি সরতে লেগে যায় অনেকটা সময়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর পার হলেও এই মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।
স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন খোলা ছিল, তখন নিয়মিতই এই মাঠে বিভাগীয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হতো। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ উদযাপনসহ উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হতো সেখানে।
করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর ধরে এই মাঠ নিষ্প্রাণ।
স্থানীয় পিন্টু শেখ জানান, দুই বছর আগেও মাঠে খেলাধুলা করা যেত। এখন আর সেই উপায় নেই। মাঠটি আশেপাশের জায়গার তুলনায় নিচু। পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
আরিফ হোসেন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বৃষ্টির পানির সঙ্গে আশেপাশের বিভিন্ন ভবনের নোংরা পানিও মাঠে ঢুকে পড়ে। এ ছাড়া মাঠের পাশ দিয়ে যে সরকারি খাল ছিল তা দখল করে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় তা পানি নিষ্কাশনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে মাঠে এই দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
রাণীনগর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জয় বলেন, ‘উপজেলার প্রধান মাঠটি পানি ও কচুরিপানায় ভরে আছে। যদি মাঠটি খেলার উপযুক্ত থাকত, তাহলে শিক্ষার্থী ও যুবকরা খেলার পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে পারত। এতে নতুন প্রজন্মের সঠিক শরীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটত।’
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে মাঠটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘মাঠটি পরিদর্শন করেছি। দ্রুত মাটি দিয়ে ভরাট করে মাঠটি খেলার উপযোগী করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।’