বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন বছরে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছাড়বে ওয়ালটন

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:০০

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আগামী ৩ বছরে পুঁজিবাজারে আরও ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে ওয়ালটন। এতে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের লেনদেনযোগ্য শেয়ার হবে ৫ শতাংশ। ৩ বছর পরে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আরও ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড আগামী তিন বছরে ১ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৪টি শেয়ার ছাড়বে। যদিও গত রোববার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী এক বছরে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে থাকা শেয়ারের ১০ শতাংশ বা ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি শেয়ার বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিল।

মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

বৈঠকে বিষয়ে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আগামী ৩ বছরে পুঁজিবাজারে আরও ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে ওয়ালটন। এতে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের লেনদেনযোগ্য শেয়ার হবে ৫ শতাংশ। ৩ বছর পরে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আরও ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারের নিয়ম-নীতি মেনেই ব্যবসাসহ সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ওয়ালটন। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারী ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা দেখা করি।

‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে বাজারে ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে বিএসইসির কাছে ওয়ালটনের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের আবেদন ছিল। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিভাবক। পুঁজিবাজারের সামগ্রিক স্বার্থে তিনি ওয়ালটনের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের আবেদন বিবেচনা করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।’

কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লক-ইন সময়ে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে থাকা শেয়ার বাজারে ছাড়ার নিয়ম নেই। কিন্তু বিএসইসির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় আরও শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে ওয়ালটনের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা একমত হয়েছেন। অফ-লোডের শেয়ার থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা নতুন শিল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন।’

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের মোট শেয়ারের সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩।

রোববার ওয়ালটনসহ পুঁজিবাজারের বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্ট এবং রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবিকে চিঠি দেয় বিএসইসি।

যেখানে তিন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের আগামী এক বছরের মধ্যে তাদের হাতে থাকা শেয়ার থেকে ১০ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে বলা হয়।

সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছাড়তে হতো ওয়ালটনকে

তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছাড়তে হতো ওয়ালটনকে। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাত্র শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হয়েছে। ১০ শতাংশ ছাড়তে হলে উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে বিক্রি করতে হবে আরও ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। এই হিসাবে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি শেয়ার বিক্রি করতে হতো ওয়ালটনকে।

অর্থাৎ প্রতি মাসে বিক্রি করতে হতো ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫টি।

কোম্পানিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছে। বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ২৮৩ টাকা।

এই হিসাবে মাত্র ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৫টি শেয়ার ছেড়েছে কোম্পানিটি। আর শেয়ার সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ার কারণে এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এ কারণে এক বছরেরও কম সময়ে শেয়ার মূল্য ৫ গুণ হয়েছে।

নতুন করে শেয়ার ছাড়লে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে যেতে পারে, এমন আলোচনার মধ্যে প্রথম দিনই কোম্পানিটি দর হারাল ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা।

আগের দিন দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে কমে হয়েছে ১ হাজার ৩৪৭ টাকা ৯০ পয়সা। মঙ্গলবার দর আরও কমে হয় ১ হাজার ৩১৯ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর