আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান হয়েছেন মনোয়ার হোসেন।
গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মনোয়ার হোসেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
মঙ্গলাবার গ্রুপটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট ৮৩ বছর বয়সে আনোয়ার হোসেন মারা যান।
আনোয়ার গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেন ও বিবি আমেনার ছেলে মানোয়ার হোসেন। তিনি ভারতের দার্জিলিংয়ে সেন্ট পলস স্কুলে তিনি অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৯২ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
মনোয়ার হোসেন ১৯৯৩ সালে পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের স্টিল ম্যানুফাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক এবং বিডি সিকিউরিটিজ, বিডি ক্যাপিটাল হোল্ডিংস এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের স্পন্সর প্রমোটার।
আনোয়ার গ্রুপের ১৮৭ বছরের বাণিজ্যিক পথচলার পরম্পরায় ১৯৫২ সালে আনোয়ার হোসেন তার পারিবারিক ব্যবসায়ের বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে বস্ত্র, নির্মাণ সামগ্রী, পলিমার, পাট, রিয়েল এস্টেট, ফার্নিচার ও হোম ডেকর, স্টিল, সিমেন্ট, ব্যাংক, সিমেন্ট শীট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা অটোমোবাইলসহ আরও অনেক ব্যবসায় সম্পৃক্ত এই গ্রুপ। আনোয়ার গ্রুপ দেশের প্রথম কিছু শিল্পোদ্যোগে সম্পৃক্ত ছিল, যার মধ্যে পলেস্টার ফেব্রিক, পিটিএফই টেপ, জিআই ফিটিংস, ইউপিভিসি ফিটিংস, ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল এবং সুপার এনামেল কপার ওয়্যার।
প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। মেজ ছেলের নাম হোসেন মেহমুদ। টেক্সটাইলে বিশেষ আগ্রহ থাকায় তিনি এখন হোসেন ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মেহমুদ ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার সিল্ক, আনোয়ার টেক্সটাইল ও আনোয়ার টেরিটাওয়েলের ব্যবসা দেখাশোনা করেন।
আর ছোট ছেলে হোসেন খালেদ। তিনি দেখাশোনা করেন আনোয়ার জুট মিলস, এজি অটোমোবাইলস, বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিসহ কয়েকটি ব্যবসা। সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি।
হোসেন খালেদ সবচেয়ে কম বয়সে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হয়েছিলেন।