বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার দিনভর বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনার বিশখালি পায়রা ও বলেশ্বর নদী তীরবর্তী ভাঙন কবলিত বেশ কিছু এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। এসব স্থানের বাসিন্দারা এখন রাতের জোয়ারে প্লাবনের শঙ্কায় আছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। তারা বলছে, রাতেও বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অমাবস্যার কারণে জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ফুট বেড়েছে বলেও জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের পানি পরিমাপক মাহতাব উদ্দীন জানান, সোমবার রাতের জোয়ারে বিশখালি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট বেড়ে যায়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশখালি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে একই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়।সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি জানান, সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর সমুদ্র ও মোহনায় থাকা ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ট্রলার পাথরঘাটা, তালতলীর ফকিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।