সৌদি আরব থেকে অবৈধ ভিওআইপি কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন মোহাম্মদ আলি নামের এক প্রবাসী। ঢাকায় তিনি রেখেছেন তিনজন কর্মী। গত দেড় বছরে এ চক্রটি প্রায় আট কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে র্যাবের দাবি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন যৌথভাবে মঙ্গলবার বিকেল অভিযান চালায় রাজধানীর লালমাটিয়ায়।
অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটকের পর র্যাব জেনেছে এ চক্রের নানা তথ্য। ঘটনাস্থলে রাতেই এক ব্রিফিংয়ে র্যাব দাবি করেছে, এ চক্রের হোতা মোহাম্মদ আলী নামের ব্যক্তি। তার অবস্থান সৌদি আরবে।
অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ আটক শফিকুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর লালমাটিয়ার বাড়িটিতে অভিযান চলে। সেখানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। আটক শফিকুল ইসলাম এ চক্রের সদস্য ও ফ্ল্যাটটির কেয়ারটেকার।’
তিনি বলেন, ‘জব্দ করা ভিওআইপি সরঞ্জামের মূল মালিক আলি নামের একজন প্রবাসী। তিনি সৌদিতে থাকেন। ঢাকায় তিনজন কর্মী রেখে তিনি এই কারবার পরিচালনা করেন। যে দুজন কর্মী সার্ভার মেইনটেইন করতেন, তারা অভিযানের আগে পালিয়ে যান। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এখানে ভিওআইপি কারবারের জন্য যে ব্যবস্থা তাতে তিন হাজার মোবাইল সিমের স্লটসহ বিভিন্ন সিম বক্স রয়েছে। অভিযানের সময় এক হাজার সিম চালু অবস্থায় পেয়েছি।’
র্যাব জানায়, ভিওআইপির লালমাটিয়ার এ অবৈধ সেন্টারে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের কল আসতো বেশি। দেশি সিম ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফোনকল অবৈধভাবে ট্রানজেকশন করতো।
অভিযানে জব্দ করা ৩০ লাখ টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম দিয়ে একসঙ্গে ১৬০ টি কল ট্রানজেকশন করা যায়। যে সব কলের মাধ্যমে প্রতি বছর অন্তত ৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। দেড় বছরে তারা ৭-৮ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করেছে বলে র্যাব জানায়।
দেশে অবৈধ ভিওআইপি কারবার বন্ধে র্যাব সাড়ে পাঁচ শতাধিক অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে আট শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।