জার্মানিতে নিম্নচাপ পেলেই সোজা টয়লেটে গিয়ে হাজির হচ্ছে বেশকিছু গরু। মুখ দিয়ে ঠেলে নিজেরাই টয়লেটের দরজা খুলছে। তারপর ভদ্রতার সঙ্গে প্রাকৃতিক কর্মটি সারছে।
গরুদের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এই টয়লেটের নাম দেওয়া হয়েছে ’মো-লো’। টয়লেট ব্যবহারের এই শিক্ষাটি তারা পেয়েছে এক দল গবেষকের কাছ থেকে।
নিছক কোনো খেয়ালের বশে নয়। ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বে মনুষ্যসৃষ্ট কারণে যত গ্রিনহাউস নির্গত হয় তার ১০ ভাগই হয় পশু খামার থেকে। এ ক্ষেত্রে গরুর একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ গরুর মূত্রে রয়েছে অ্যামোনিয়া। যা মাটির সঙ্গে মিশে নাইট্রাস অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। আর এই নাইট্রাস অক্সাইডই হলো- গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রধান উপকরণ।
গরুকে মানুষের মত টয়লেট ব্যবহার করানো তো আর সহজ ব্যপার নয়। তাই তাদের প্রশিক্ষণ দিতে কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছেন গবেষকরা।
এ ক্ষেত্রে প্রথমেই তারা ১৬টি গরুকে বেছে নিয়েছেন। এসব গরুর মধ্যে যারা মো-লো’তে গিয়ে মূত্র ত্যাগ করছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। আর যারা মো-লোর বাইরে এই কর্মটি সারছে তিরস্কার হিসেবে তাদের দিকে টানা তিন সেকেন্ড প্রচণ্ড গতিতে পানি ছোড়া হচ্ছে।
কয়েকদিনের মধ্যে আশাতীত ফলও পেয়েছেন তারা। দেখা গেছে, ১৬টি গরুর মধ্যে ১১টিই টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
মো-লো’তে ত্যাগ করা গরুর মূত্র পরে সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করছেন গবেষকরা। দেখা গেছে এই প্রক্রিয়ায় ওই খামারে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত অ্যামোনিয়া নিঃসরণ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তারা।