প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলেছেন- এমন বক্তব্য দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে গোপালগঞ্জের একটি আদালত।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরিফুর রহমান এ আদেশ জারি করেন। বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেছিলেন, জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগে স্বাধীনতাবিরোধীরা আছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নুরুল ইসলামকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রিজভী তাকে স্বাধীনতাবিরোধী বলার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ২১ নেতা-কর্মী ও গোপালগঞ্জ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার ও তার বাবা হাসেম সরদারকেও রাজাকার বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের খবরটি ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ছাপা হয়।
দেলোয়ার হোসেন ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রিজভী ছাড়াও যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।
মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলায় অপর দুই অভিযুক্ত দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২ সেপ্টেম্বর রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমি ও আমার বাবার সম্মানহানি হয়েছে। এ কারণে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়।’