বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলে একমাত্র শিক্ষক

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:১৮

করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে রোববার থেকে বিদ্যালয় খোলার পর সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান একাই করাতে হচ্ছে কাজল রেখাকে। এতে চরম বিপত্তিতে পড়েছেন তিনি।

ভোলার লালমোহনের ১৬৩ নম্বর কুমারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৩ সালে জাতীয়করণের আওতায় আসা বিদ্যায়টিতে এখন শিক্ষার্থী আছে ১২৪ জন।

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীকে এখন পাঠদান করছেন মাত্র একজন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের বাকি তিন শিক্ষক অবসরে গেলেও তাদের জায়গায় নতুন কাউকে পদায়ন না করায় সৃষ্টি হয়েছে এ সমস্যা।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম থেকে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক ছিলেন চারজন। পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজল রেখা নামের এক শিক্ষক ছাড়া বাকি সবাই অবসরে যান। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান কাজল রেখা। এরপর থেকে একাই বিদ্যালয়ের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে রোববার থেকে বিদ্যালয় খোলার পর সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান একাই করাতে হচ্ছে কাজল রেখাকে। এতে চরম বিপত্তিতে পড়েছেন তিনি। বিদ্যালয়টিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও নেই।

কয়েকজন অভিভাবক জানান, একজন শিক্ষিকা দিয়ে পুরো স্কুলের এত শিক্ষার্থীর পাঠদান কোনোভাবেই সম্ভব না। শিগগিরই এখানে আরও শিক্ষকের পদায়ন জরুরি।

বিদ্যালয়টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজল রেখা বলেন, ‘একা বিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থীকে পড়ানো ব্যাপক কষ্টসাধ্য। তাই দ্রুত বিদ্যালয়টিতে আরও শিক্ষক পদায়ন করা প্রয়োজন।’

লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আগে বিষয়টি জানা ছিল না। এখন জেনেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে শিক্ষক পদায়নের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর