অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পাশে চায় ইউরোপের মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র কসোভো। এক যুগ আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করা দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ পেতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া।
সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সমঝোতা চুক্তিতে সম্মত হয় এফবিসিসিআই ও কসোভো চেম্বার অফ কমার্স। এফবিসিসিআই ও কসোভো চেম্বার অফ কমার্সের মধ্যে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারকের খসড়াও রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাক্ষাতে কসোভো রাষ্ট্রদূত দেশটির কসোভোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি কসোভোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পাশে চান। দুই দেশের যৌথ মালিকানায় দেশটিতে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ পেতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন গুনার।
তিনি বলেন, ‘কসোভোকে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই দেশটিতে বিনিয়োগ করলে, সেটি এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশে কারখানা স্থাপন করলেও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য এখনও বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। এ বিষয়ে শিথিলতা আনতে এফবিসিসিআই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
ইউরোপের বলকান অঞ্চলের রাষ্ট্র কসোভো সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিল।
প্রদেশটি ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ, বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আলবেনীয় মুসলিম। ২০১৭ সালে কসোভোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ।