সরকারের যে তিন লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে, সেটি বাস্তবতার নিরিখে অনেক কম বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরও বেশি রাজস্ব আদায়ের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীতে শীর্ষ করদাতাদের বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।
গর্ভনর বলেন, ‘৩০ লাখ কোটি টাকার জিডিপিতে রাজস্ব আহরণ হয় মাত্র ৩ লাখ কোটি টাকা। আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত ৯ শতাংশের ও কম। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উন্নয়নে আরও বেশি কর আদায় করতে হবে।’
ফজলে কবির বলেন, ‘দেশের রাজস্ব আহরণের ভিত খুবই দুর্বল। আমাদের রাজস্বের ভিতটাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য যোগ্য সবাইকে করের আওতায় আনা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘সবাই কর পরিশোধ করে সরকারকে আরও বেশি ক্ষমতাবান করতে পারি। তা হলে সরকার আরও বেশি উন্নয়ন করতে পারবে। দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে।‘
ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আরও সুশাসন নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর। বলেছেন, এ খাতে সুশাসন নিশ্চত করা গেলে দেশের উন্নয়নে আর্থিক খাতের অবদান আরও বাড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বেশি দূরে নয়।
‘নিজস্ব অর্থাায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। এই উদ্যোগ আমাদের সাহস জুগিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বড় প্রকল্প নিজেদের টাকায় বাস্তবায়ন করতে আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
এনবিআরের জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কর হার কমিয়ে এবং নেট সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা আশাবাদী।’
তিনি বলেন, ‘করদাতাদের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। এটি নিশ্চিত করা গেলে তাদের আস্থা অর্জনে সহজ হবে।’
এনবিআরের আরেক সদস্য গোলাম নবী বলেন, ‘রাজস্ব বাড়লে সমৃদ্ধি বাড়ে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার ইকবাল হোসেন।