কুড়িগ্রামের উলিপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অবৈধভাবে কেনাবেচার অভিযোগে একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মেসার্স কাশেম চালকলের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এর আগে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া সোমবার গভীর রাতে উলিপুর থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার পুবেল সরদার, শহরের মধ্য বাজারের মেসার্স কাশেম চালকলের মালিক সেকেন্দার আলী ও ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সরকারি সিলযুক্ত ৫০ কেজির ২০ বস্তা চাল নিয়ে দুটি ভ্যান বের হয়। কাশেম চালকলে বস্তাগুলো নামানোর সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেন।
দুই ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দস ও শহীদ আলী পুলিশকে জানান, ডিলার পুবেল এগুলো সেকেন্দারের কাছে বিক্রি করেছেন।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের উপস্থিতিতে পুলিশ ২০ বস্তা চাল জব্দ করে। একই সঙ্গে দুই ভ্যানের চালক ও ম্যানেজার আনোয়ারকে আটক করে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির নিউজবাংলাকে জানান, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মামলার পর আনোয়ারকে এতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর ভ্যানচালকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাল ব্যবসায়ীর অভিযোগ, শাহিনুর রহমান ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে খাদ্য বিভাগ দুটি তদন্ত কমিটিও করে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আলাউদ্দিন বসুনিয়াকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।