বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ মামলা করায় হামলা: ১১ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:২২

ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার একমাত্র আসামি বজলু হাওলাদার। আর বাদীর পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় বজলুর ভাই, চাচাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ মামলার ১১ দিন পার হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ছাড়া ধর্ষণ মামলা করায় বাদীর পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ মামলায়ও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। বরং প্রতিনিয়ত তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।

ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার একমাত্র আসামি বজলু হাওলাদার। আর বাদীর পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় বজলুর ভাই, চাচাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

তরুণীর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী বাড়ির পাশের পুকুরে পানি আনতে যান। ওই সময় আসামি বজলু তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিজবাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছুক্ষণ পর তরুণী বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরেই তরুণীর মা সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

তারা অভিযোগ করেন, মামলার ১১ দিন পরও আসামি বজলুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো তারা মামলা উঠাতে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। এর মধ্যে তরুণীর দুই ভাইকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

তরুণীর মা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তার দুই ছেলে আসামির বাড়ির সামনে দিয়ে আসার সময় তাদের ওপর হামলা হয়। আসামির চাচা হালিম হাওলাদার, তার ছেলে হৃদয় হাওলাদার, আসামির ভাই তোতা হাওলাদার, তার ছেলে আমীন হাওলাদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাদের বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় ১২ তারিখে মামলা করা হয়।

তরুণীর এক ভাই বলেন, ‘এতদিন গেলেও এখনও মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মাঝে মাঝে এলাকায়ও তাকে দেখা যায়। পুলিশ আসার আগেই আবার চলে যায়। আমাদের দুই ভাইকে মামলা উঠানোর জন্য অনেক মারছে। এভাবে চললে হয়তো কখনোই আসামি গ্রেপ্তার হবে না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার প্রভাবশালীরা মামলা উঠাতে বলেন, কিন্তু আমরা মামলা উঠাব না। এলাকায়ও মিটাব না, যা হওয়ার আইনে হবে।’

অভিযোগ বিষয়ে জানতে আসামির বাড়ি গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা কিছুই করি নাই।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান মিঞা বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আসামি গ্রেপ্তারের, কিন্তু এখনও তাকে পাওয়া যায়নি। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায়ও চেষ্টা করে যাচ্ছি।

‘আর ওই পরিবারকে মারধরের ঘটনায়ও মামলা নিয়েছি। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর