নওগাঁর মান্দায় আকলিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের পারনুল্লাবাদ গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃদ্ধার পুত্রবধূ লাইলী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
আকলিমা বেগম ওই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আকলিমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি পারনুল্লাবাদ গ্রামে ছোট ছেলে আবু তালেবের বাড়িতে থাকতেন। মেজো ছেলে আজিজুল ইসলাম ঢাকায় এক ব্যক্তির গাড়ি চালক। তার স্ত্রী লাইলী বেগম একই গ্রামে অন্য বাড়িতে একা থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকালে লাইলী জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের মানিকগ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এর আগে শাশুড়িকে এনে নিজের বাড়ি পাহারায় একা রেখে যান।
সোমবার রাত ৮টার দিকে লাইলী বাড়ি ফিরে প্রধান দরজা তালাবদ্ধ দেখেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এসময় আকলিমাকে শয়নকক্ষের খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ ঘটনা আশপাশের লোকজন থানায় জানালে রাত ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আকলিমার বড় ছেলে আবুল কাসেম বলেন, ‘আমার মাকে হত্যা করে খুনিরা বাড়ির দরজায় তালা মেরে চলে গেছে। তাকে কেনো এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা জানিনা। জড়িতদের পুলিশ যেনো খুঁজে বের করে।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে বৃদ্ধাকে হত্যা করে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিছু তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করে রাত ২টার দিকে মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সকালে বৃদ্ধার পুত্রবধূ লাইলী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আকলিমার ছেলে আবুল কাসেম হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি শাহিনুর।