শিশুটি কেবল হাঁটতে শিখেছিল। গুটি গুটি পায়ে সে চলত, আর স্বজনরা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকত।
কিন্তু সে আর কখনও হাঁটবে না। হাঁটতে হাঁটতে সে টয়লেটে চলে গিয়ে বালতিতে রাখা পানিতে ডুবে যায়। ঘরে থাকা মানুষরা টের পাওয়ার আগেই মারা গেল শিশুটি।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পশ্চিম রসুলপুর এলাকার একটি বাসায়।
শিশুটির নাম হাফিজা। বয়স হয়েছিল সবে এক বছর।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন বাবা, কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। বিকেল ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করলে কান্নার রোল পড়ে যায়।
শিশুটির বাবা সুমন হোসেন জানান, বড় মেয়েকে খাওয়ানোর সময় হাফিজা হেঁটে বাথরুমের দিকে যায়। দরজা খোলা পেয়ে ঢুকে যায় ভেতরে।
সেখানে বালতিটি ছিল পানিতে পরিপূর্ণ। পানি নিয়ে খেলতে খেলতে সেখানে পড়ে যায় মেয়েটি।
সুমন বলেন, ‘মেয়েটাকে হঠাৎ দেখছি না। খোঁজাখুঁজি করতে করতে বাথরুমে গিয়ে দেখি অচেতন অবস্থায় পানিতে পড়ে আছে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়াও শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।