বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনস্টেবল নিয়োগ হবে মেধা ও শারীরিক যোগ্যতায়: আইজিপি

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৯

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো। এটা এক্ষুনি করা যায়। এতে সময় এবং আর্থিক বিনিয়োগ কোনোটারই প্রয়োজন হয় না।’

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কনস্টেবল নিয়োগের সময় মেধা ও শারীরিক যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘নতুন নীতিমালায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে। আমরা প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ এবং উন্নত অনেক দেশের নিয়োগ নীতিমালা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী কনস্টেবল নিয়োগ নীতিমালা করেছি।

‘এর ফলে আমরা কনস্টেবল পদে মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন পুলিশ সদস্য নিয়োগে সক্ষম হব। অচিরেই পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদেও নতুন নীতিমালা অনুযায়ী লোক নিয়োগ করা হবে।’

মঙ্গলবার সকালে তিন দিনব্যাপী অপরাধ পর্যালোচনা সভার শেষ দিনে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সমাপনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনায় আমরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।’

বেনজীর বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্যের মাদকের সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না। কারও যদি মাদকের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তাকে বেরিয়ে আসতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্যের মাদক গ্রহণ, মাদক ব্যবসা বা মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ পুলিশকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘বাহিনীর শৃঙ্খলা এবং কল্যাণ এক বিষয় নয়। শৃঙ্খলাকে কল্যাণের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

‘জুনিয়রদের কাজকর্ম তদারক করতে হবে। তাদেরকে পুলিশ বাহিনীর একজন যোগ্য সদস্য হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সিনিয়র সহকর্মীদের পালন করতে হবে।’

জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা নিয়ে যাওয়ার একটি কার্যকর পদ্ধতি ‘বিট পুলিশিং’ উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। বিট পুলিশিংয়ের কারণে বর্তমানে মামলা অর্ধেকে নেমে এসেছে।’

উদ্ভাবনী পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করতে হবে। পুলিশে বেস্ট প্র্যাকটিসের চর্চা বাড়াতে হবে। আমরা যেখানেই কাজ করি না কেন, আমাদেরকে পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, যাতে মানুষ আমাদের স্মরণ করে, মনে রাখে।’

সাধারণ মানুষের প্রতি আচরণ বদলানোর আহ্বান জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো। এটা এক্ষুনি করা যায়। এতে সময় এবং আর্থিক বিনিয়োগ কোনোটারই প্রয়োজন হয় না।’

মামলা তদন্ত পুলিশের প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘মামলা তদন্তের মান আরও বাড়াতে হবে। তদন্তের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী হতে এবং তদারকি বাড়াতে তিনি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।’

তিনি বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়া নিয়মিত মনিটর করতে হবে, যাতে কোনো সাধারণ নাগরিক সাইবার ক্রাইমের শিকার না হন। পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের ও পুলিশ বাহিনীর অনুশাসন মেনে চলতে হবে।

‘অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রজেক্টে অনেক বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। তাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু চাকরি করলে হবে না। চাকরিতে প্রাইড নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য মানসিকতা ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আনতে হবে। চাকরির প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব। সংগঠন যত বড় হবে, তত এর শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। দেশ ও দেশের জনগণ উন্নত সেবা পাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর