হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ঘরের টিনের বেড়া খুলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, সোমবার রাতে তার স্বামী পাশের একটি বিলে মাছ ধরতে যান। তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২টার দিকে প্রতিবেশী দুই যুবকসহ চারজন ঘরের পেছন দিকের টিনের বেড়া খুলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
ওই নারীর স্বামী জানান, মাছ ধরা শেষে তিনি বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি বাইরে থেকে চিৎকার শোনেন। এক পর্যায়ে ঘরের পেছনের খোলা অংশ দিয়ে ঘরে ঢুকলে ওই যুবকরা তাকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুইজনকে চিনতে পারছি। তারা আমাদের পাশের বাড়ির। বাকি দুইজনের মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।
‘ছয় থেকে সাত মাস আগেও ওই চার যুবকের একজন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। এ ব্যাপারে মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ গ্রামের মাতাব্বরদের কাছে বিচারও চেয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েও বিচার করেনি।’
স্ত্রীর চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার পর মামলা করবেন বলে জানান তার স্বামী।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন রায় জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা।
শানখলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান তরফদার বলেন, ‘এর আগেও একবার এই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এক যুবক। তার স্বামী আমার কাছে বিচার দিয়েছিলেন। আমি সাবেক চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলাম। তিনি সমাধান করেননি। শুনেছি ওই যুবক এই ঘটনার সঙ্গেও জড়িত।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’