বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহীর সব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের নিবন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৭

সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি। তারা কাগজপত্র জমা দিয়েছে। পরিদর্শন শেষে কাগজ জমা দিলেই তারা লাইসেন্স পেয়ে যাবে।’

রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের মেয়াদ পার হয়ে গেছে। করোনা মহামারির কারণে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকি না থাকায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সিভিল সার্জন জানান, তাদের কাছে পরিদর্শনের জন্য ৬০ থেকে ৭০টি আবেদন জমা আছে। পরিদর্শন শেষে কাগজ জমা দিলেই তারা লাইসেন্স পেয়ে যাবে।

জেলার বেশ কিছু ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান জানান, অবহেলায় রোগী মৃত্যুরও ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নেই চিকিৎসার পরিবেশ। অনেকেই ভবন ভাড়া নিয়ে ঘিঞ্জি-স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা।

রাজশাহী ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, রাজশাহী নগরীতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১২০টি। এর মধ্যে ক্লিনিক ৩০টি এবং ৯০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘রাজশাহীর দুই-একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিন-চার বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। কোনো কোনোটির মেয়াদ চলে গেছে এক-দুই বছর আগে। চেষ্টা-তদবির করেও নিবন্ধন নবায়ন করা যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে লাইসেন্স নবায়ন পড়ে আছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নবায়নে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো দুই বছর ধরে পরিদর্শন করতে পারছে না। একই কারণে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।

আবদুল মান্নান জানান, রাজশাহীর প্রথম সারির অন্তত ১৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করোনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে আগ্রহী। তাদের লাইসেন্স নবায়ন না থাকার জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি।রাজশাহীর সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি। তারা কাগজপত্র জমা দিয়েছে। পরিদর্শন শেষে কাগজ জমা দিলেই তারা লাইসেন্স পেয়ে যাবে। আমাদের কাছে পরিদর্শনের জন্য ৬০-৭০টি আবেদন জমা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হয়ে গেছে। মহানগরে ৩৩টি পরিদর্শন হয়ে গেছে। চেষ্টা করছি দ্রুত এগুলোর পরিদর্শন শেষ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর