কেনাকাটায় দুর্নীতির মামলায় আজিমপুর মাতৃসদনের সাত চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় এক ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মামলায় আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের ৭ চিকিৎসকসহ ৩ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। দ্রুততার সঙ্গে এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।’
চার্জশিটের আসামীরা হলেন- আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, আজিমপুর মার্তৃসদনের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, আজিমপুর মাতৃসদনের মেডিক্যাল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আকতার ও ডা. নাজরীনা বেগম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া চার্জশিটে থাকা তিন ঠিকাদার হচ্ছেন- মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টেরর স্বাত্বাধিকারী ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্ণারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্তনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগশাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আসামীরা টেন্ডারের মাধ্যমে ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে মনগড়া দরের ভিত্তিতে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া আরও তিন অর্থ বছরে আজিমপুর মাতৃসদনে কেনাকাটায় দুর্নীতির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান দুদক সচিব।