করোনাভাইরাসের সময়টায় একের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোকে ভারাক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা আর যেন এমন মৃত্যু না ঘটে; প্রতিদিন যেন সংসদে আনতে না হয় শোক প্রস্তাব।
জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে মঙ্গলবার শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতীয় সংসদ।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পার্লামেন্টে আমরা এতজন সংসদ সদস্য হারালাম, এটা সত্যি খুব দুঃখজনক। এ রকম প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আমরা আর শোক প্রস্তাব আনতে চাই না। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক, ভালো রাখুক।’
প্রয়াত মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী বহুগুণসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার চলে যাওয়ায় সমাজের একটা বিরাট ক্ষতি হলো। তিনি খুব মিষ্টিভাষী ও জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। বেঁচে থাকলে সমাজে আরও অনেক অবদান রাখতে পারতেন তিনি।’
মাসুদার বহুমুখী প্রতিভা নারী সমাজকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগাবে, প্রেরণা দেবে ও শক্তি জোগাবে বলে বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর।
এ সময় করোনাভাইরাস ইস্যুতেও কথা বলেন শেখ হাসিনা। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে সবাই যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলে। এমনকি যারা টিকা নিয়েছেন, তাদেরও আমি অনুরোধ করব, তারা সুস্থ থাকুন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো যেন একটু মেনে চলেন।’
শোক প্রস্তাবেরও পর আলোচনায় আরও অংশ নিয়েছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, বিরোধী দলের সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মসিউর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপির হারুনুর রশীদ, সরকারি দলের সাংসদ সিমিন হোসেন, আবদুস সোবহান মিয়া, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াশিকা আয়শা খান, নাজমা আক্তার প্রমুখ শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। পরে রীতি অনুযায়ী সংসদ মুলতবি করা হয়। বুধবার সাড়ে দশটায় আবারও বৈঠকে বসবে সংসদ।