সিএনজি ফিলিং স্টেশন বুধবার থেকে বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান।
পেট্রোবাংলা ও সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভা শেষে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বেলা ১১টার দিকে ওনার্স এসোসিয়েশন ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুল ফাত্তাহ্র মধ্যে সভা হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান ও পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) আলি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
মাসুদ খান বলেন, ‘আমরা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সাথে সভায় বসেছিলাম। আমরা উনাদের কথা শুনেছি আর উনারাও আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা আশা করছি একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘ছয় ঘণ্টা যে বন্ধের কথা বলা হয়েছে, এতে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাই আমরা উনাদের সাথে আমাদের সমস্যার কথা বলেছি।
‘উনারা আমাদের আলোচনাগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আশা করছি কাল থেকে বন্ধ হবে না। আরও দুই-চার দিন সময় নিয়ে বন্ধ হবে।’
এ সময় মাসুদ খান তাদের পক্ষ থেকে দেয়া সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, ‘সরকার তাদের বাস্তব সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, কেন বন্ধ করা হবে। আমরা বলেছি ছয় ঘণ্টার জায়গায় যেকোনো তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখার কথা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলেছে, এলএনজি গ্যাস এখন আসছে না। এলএনজি আনতে সময় লাগবে। এর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরি বেশি। এই গ্যাপ সময়টা যেন উনাদের দেয়া হয়। তবে আমরা বলেছি এটা যেন তিন ঘণ্টার বেশি না হয়। এটা যেন দুই-চার দিন পরে করা হয়।’
পেট্রোবাংলার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা উনাদের বক্তব্য শুনেছি। আমাদের কথাও বলেছি। আমরা পিক আওয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলে আশা করছি সেটা আপনাদের জানাতে পারব।’
কেন এখন বন্ধ করতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে গ্যাসের চাহিদা বেশি থাকে। তো সেইসব বিষয় নিয়েই আমাদের উনাদের সাথে কথা হয়েছে। আমরাও একটা হিসাব করব যে, উনারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা আমাদের সাথে কতখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা উনাদেরকে কোনো প্রস্তাব দিইনি। আমরা উনাদের দুটি প্রস্তাব শুনেছি এবং তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। বন্ধ সময়ে ৮২ থেকে ৮৩ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সিএনজি থেকে খরচ হয়। তবে এটা বেশি দিন লাগবে না। নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। আর এই সময়ে এলএনজি দেশীয় সোর্স থেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করব।’
এর আগে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাড়িতে আবারও সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সায়মা আক্তারের সই করা চিঠিটি রোববার পাঠানো হয়, যা সোমবার সাংবাদিকদের হাতে আসে।
চিঠিতে পেট্রোবাংলাকে জাতীয় তিনটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়।