সিনোফার্মের এক লাখ ডোজ নিয়ে গাড়ি পৌঁছেছে কুষ্টিয়ায়। এক দিন বন্ধ থাকার পর সব উপজেলায় ফের শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম।
জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছে, রাজধানী থেকে টিকার গাড়ি মঙ্গলবার ভোর ৪টায় কুষ্টিয়া পৌঁছায়।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যদিও আজ (মঙ্গলবার) আবহাওয়া খারাপ, তারপরও যারা অপেক্ষায় ছিলেন কেন্দ্রে আসলে তাদের টিকা দেয়া হবে। এই এক লাখ ডোজ আগামী ১২-১৩ দিন চলবে।’
সময় মতো টিকার গাড়ি না পৌঁছানোয় সোমবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় করোনার টিকাদান কর্মসূচি। কাজ ফেলে টিকা নিতে গিয়ে তা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন অনেকে।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল বলেন, ‘আমাদের একটা গড়মিল হয়েছে। (সোমবার) ভোর ৪টার দিকে টিকার গাড়ি আসার কথা ছিল। বিশেষ কারণে এটা আসেনি... আমরা চেয়েছিলাম এক দিনও যাতে টিকা দেয়া বন্ধ না থাকে।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ১১০ জনকে প্রথম ডোজ দেয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ হয়ে যায়। আর সিনোফার্মের টিকা শেষ হয় ১২ সেপ্টেম্বর। সেদিন ৭৫১ জনকে প্রথম ডোজ ও ৪৯৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়।
কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া থেকে মঙ্গলবার সকালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে কেন্দ্রে যান সানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে যেতে দুর্ভোগ হলেও কেন্দ্রে লোক কম থাকায় সহজেই টিকা নিতে পেরেছেন।
গত দুইদিন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন জুগিয়ার সীমা আক্তার। ভেবেছিলেন মঙ্গলবার গিয়েও হতাশ হবেন। তবে সকালে কেন্দ্রে গিয়ে দুই মিনিটেই টিকা নিতে পেরে খুশি হয়েছেন বলে জানালেন সীমা।
একই অভিজ্ঞতা নাসরিন আক্তারের। তিনি বলেন, ‘কাল (সোমবার) এসে ফিরে গিয়েছিলাম। কেন্দ্র থেকে বলেছিল টিকা নেই। আজ এসে সহজেই টিকা পেলাম। তবে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় পানি থাকায় আসতে বেশ কষ্ট হয়েছে।’
কুষ্টিয়ার কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দারোয়ান জহির আলম বলেন, ‘সূর্যের আলো ফোটার আগেই বৃষ্টির মধ্যে লোকজন এসে কেন্দ্রের ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে নয়টার দিক থেকে তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে।‘
কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬১ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩০৩ জন।