বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় টানা দেড় মাস কম শনাক্ত ও মৃত্যু

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৫৪

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ৩৬৮ জন। এর আগের সপ্তাহে মারা গেছেন ৫৪৮ জন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুর হার কমেছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কমেছে রোগী শনাক্তের হারও।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল জুলাইয়ে। সে সময় সারা দেশে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুধু জুলাই মাসেই মারা গেছে সাত হাজারের বেশি মানুষ। তবে আগস্টের প্রথম দিকেই কমতে শুরু করে সংক্রমণ।

গত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের চেয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। টানা দেড় মাস ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে করোনা সংক্রমণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ৩৬৮ জন। এর আগের সপ্তাহে মারা গেছেন ৫৪৮ জন। ওই এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুর হার কমেছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

কমে এসেছে রোগী শনাক্তের হারও। গত সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৭ জন, আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৯১৯ জন। রোগী শনাক্তের হার কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

রোগী শনাক্তের হার কমে আসার কারণে সুস্থতার হার কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে রোগী সুস্থ হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৫৮ জন। এর আগের সপ্তাহে সুস্থ হয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৩৬৬ জন।

রোগী সুস্থ হওয়ার হার কমেছে ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ।

একই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমে আসছে, গত সপ্তাহে (৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর) করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৭১৮টি।

এর আগের সপ্তাহে (৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর) নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষার হার কমেছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। এই সপ্তাহে মোট ৫৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হিসেবে এই সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৯১৯ জনের দেহে। গত এক সপ্তাহে মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা কমে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এর আগে ২৩ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে করোনা নতুন রোগী ধরা পড়ে ৩১ হাজার ৫৩৯ জন, যা শনাক্ত হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। এ সময়ের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩ জনের, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম।

এর আগে ১৬ থেকে ২২ আগস্ট করোনাভাইরাসে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৪৩ হাজার ৯৫ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৯১ শতাংশ কম শনাক্ত। এ সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয় ১১ হাজার ৭ জনের, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

৯ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৬৫ হাজার ২০৭ জন, যা শনাক্তের হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এ সময়ের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫২৩ জনের, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে মার্চ থেকে। তখন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে। পরের কয়েক মাস এটির দ্রুত বিস্তার ঘটে, যা দেশজুড়ে শঙ্কা ও চিকিৎসা সংকট তৈরি করে।

তবে পাঁচ মাস পর পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে। গত দেড় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

গত জুলাই মাসে দ্বিতীয় ঢেউ তার চূড়া স্পর্শ করে। তখন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, যা এখন ৯ শতাংশের ঘরে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেয়া লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন আড়াই শর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও বহুজন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা রয়েছে।

কেউ কেউ বলছেন, তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা কিছুটা কম। তবে এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ও দেশের বিমানবন্দরগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর