ভোলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাতেও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে। ঘটনাটি ভোলা সদরের শিবপুর ইউনিয়নের ২৪ নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম শিবপুর শরীফ সরদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সোমবার রাত ১০টার দিকে বিদ্যালয়টিতে গিয়েও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবশ্য ভুল স্বীকার করলেও দোষ চাপিয়েছেন সহকারী শিক্ষকদের ওপর। তার দাবি, তিনি আগেই বিদ্যালয় থেকে চলে আসেন। অন্য শিক্ষকরা পতাকা নামাতে ভুলে গেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবমাননার শামিল। সন্ধ্যার আগে পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাতে পতাকা টানানো যাবে না।
দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে।
বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকদের অবহেলায় রাতেও জাতীয় পতাকা না নামানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
তারা জানান, সোমবার রাতে তারা বিদ্যালয়টিতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেন। বিষয়টি তাদের খারাপ লেগেছে। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তারা। এ বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে স্কুল থেকে একটু আগে বের হয়ে গেছি। আমার সহকারী শিক্ষকদের ভুলবশত পতাকা নামাতে খেয়াল ছিল না।
‘শিক্ষকদের ভুলের কারণে পতাকাটি না নামিয়ে রাখায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না।’জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসা নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে। রাতেও ২৪ নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম শিবপুর শরীফ সরদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়ানোর বিষয়টি অবমাননার শামিল।
‘জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওই বিদ্যালয়ে যদি রাতের আঁধারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’