শ্লীলতাহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।
চিত্তরঞ্জনের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় চিত্তরঞ্জন দাস জামিনের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
শনিবার শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এক নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। তিনি এজাহারে নিজেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস তার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।
চাঁদা চাওয়ার সত্যতা যাচাই করতে ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, চিত্তরঞ্জন ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি।