করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার হলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফিরলেই ঝকঝকে তকতকে ক্যাম্পাস দেখতে পাবে।’
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোভিডকালীন ছাত্রাবাস ও হল মেরামতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে আমাদের শ্রেণিকক্ষগুলোতে সরাসরি পাঠদান কর্মসূচি স্থগিত ছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন খোলা হবে সে সময় যেন শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারে।’
গত অর্থবছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ১৮৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় এ খাতে আরও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এটি ২৩৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
রোববার থেকে স্কুল, কলেজে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ক্লাস শুরু হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই এক দিনের মধ্যে বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দেখছেন বলে জানান শিক্ষা সচিব। বলেন, ‘এই কাজের অগ্রগতি কী হচ্ছে সেটিও আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা প্রায় চারবার বিভিন্ন ধাপে কাজ শুরুর আগে এবং পরে কী অবস্থায় আছে তা তিনি মনিটর করছেন। রঙ্গিন ছবিসহ আমাদের তাকে পাঠাতে হয়েছে।
‘শিক্ষার্থীরা যখন ফিরবেন তারা যেন তাদের প্রিয় ছাত্রাবাস, অ্যাকাডেমিক ভবনকে ঝকঝকে তকতকে পায়। বিশেষ করে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও যেন থাকে।’
ছাত্রাবাসগুলোর সব কক্ষের মেরামত সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি। শিক্ষা সচিব বলেন, ‘রুমের কাজের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু জটিলতা হয়েছিল। যেহেতু তারা এখন হলে নাই, তাই দরজার তালা খুলে আমরা কাজ করতে পারিনি।’
শিক্ষা সচিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় এ টাকা দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পায়নি, কারণ তাদের হল নেই। কলেজের জন্য মাউশির যে রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট, সেখান থেকে প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।