উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়ে নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হওয়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তাল গভীর সমুদ্রে এখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পিরোজপুরের পাঁচ হাজারের বেশি জেলে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ১০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগর উপকূলের পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম এবং এসবের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।পিরোজপুরে এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, পিরোজপুর জেলার পাঁচ হাজার ৩০০ জেলে এখন গভীর সাগরে মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর
মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতা শহিদুল ইসলাম জানান, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের অনেক জেলে সাগরে ট্রলার নিয়ে গেছেন। গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ট্রলার গভীর সাগর থেকে পাড়েরহাট বন্দরে পৌঁছেছে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিম্নচাপের কারণে সব নৌযানকে সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস থেকে জেলেদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। জেলে ও তাদের পরিবারকে নিরাপদে থাকার বার্তা পাঠাতে মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’