বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝুমনকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন, ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতাদের

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:১৬

‘কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে হয়ত ঝুমন দাশকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে। তারা উসকানি দিয়ে দেশে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। অবিলম্বে ঝুমনকে মুক্তি না দেওয়া হলে আমরা আবারও রাজপথে নামব। ধর্মীয় উগ্রবাদকে লাল কার্ড দেখাব।’

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতা কর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানবন্ধন হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি হলেও ব্যানারে লেখা হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এই ব্যানারে। ঝুমনকে অবিলম্বে ঝুমনকে মুক্তি দেয়া না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়।

গত মার্চে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের মজলিসে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ঝুমন। পরে হিন্দুপল্লিতে হামলা হয়।

সে সময় ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলার ঘটনায় যে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের বহুজন জামিনে মুক্তি পেলেও ঝুমনের মুক্তি হয়নি।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে হয়ত ঝুমন দাশকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে। তারা উসকানি দিয়ে দেশে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। অবিলম্বে ঝুমনকে মুক্তি না দেওয়া হলে আমরা আবারও রাজপথে নামব। ধর্মীয় উগ্রবাদকে লাল কার্ড দেখাব।’

বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হল সংসদের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু ইউনূস বলেন, ‘সাতবার আবেদনের পরও জামিন পাননি ঝুমন দাস। অথচ সুনামগঞ্জের হিন্দু পল্লিতে যারা হামলা করেছে তাদের অনেকেই জামিন নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। এটি আমাদের জন্য অশনি সংকেত।

‘সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনের অপব্যবহার রোধে ধর্ম অবমাননার সুস্পষ্ট সংজ্ঞা যেন নির্ধারণ করা হয়। এতে বাংলাদেশের সকল ধর্মের অনুসারীরা অন্যায়ের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী বলেন, ‘ঝুমন দাস যে চিন্তা প্রকাশ করেছেন, সেটি স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং প্রগতিশীলতার পক্ষে। এটি কখনও অন্যায় হতে পারে না। তাকে জামিন না দেয়াটাই বরং অন্যায়। আমরা অবিলম্বে তারা মুক্তি চাই।’

রাকিব সিরাজীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদের সাবেক জিএস মেহেদী হাসান, মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদের সাবেক জিএস সিয়াম রহমান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন এবং একই হলের সাবেক ভিপি সাইফুল্লাহ আব্বাসী বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর