কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেনের জেরে বন্ধ করে দেয়া নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে ভুক্তভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। অন্যথায় নগদ অফিস ঘেরাও করা হবে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান সরকার। এ সময় ভুক্তভোগী ১০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
রাকিব হাসান বলেন, আলাদীনের প্রদীপ, সিরাজগঞ্জ শপ ও বগুড়া শপসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে তারা ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড় দিত। কিন্তু সরকার ই-কমার্সের নতুন নীতিমালা কার্যকর করায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের না জানিয়েই তারা টাকা গ্রহকদের নগদ অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্তু নগদ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নগদ সকল অভিযোগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, ঠিক তখন একই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নগদকে পুনরায় নতুন অফারের প্রচারণা করতে দেখা যায়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, একটি ফর্মে তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সামান্য কিছু অ্যাকাউন্ট চালু করা হলেও বড় অংকের টাকা জমা থাকা অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেয়নি। এটিকে ‘নগদের স্বেচ্ছাচারিতা’ বলেও মন্তব্য করেন তারা।
যেদিন এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেদিন নগদের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) নানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসব হিসাব স্থগিত করেছিল। যাচাই বাছাই করে ৭০০ হিসাব এরই মধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। বাকি হিসাবগুলোও ধারাবাহিকভাবে খুলে দেয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সংশ্লিষ্ট অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে গ্রাহকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের জন্যই ‘নগদ’-এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বলে কিছু অ্যাকাউন্টের স্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘হোল্ড’ হয়ে যায়।