বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়েছেন তারা

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:০৪

র‍্যাব জানায়, নাজির ও কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। তারা সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভ্রান্ত করেছেন অনেককে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

চাকরি দেয়ার কথা বলে তারা চুক্তি করেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেন নিয়োগপত্র। পুরো প্রক্রিয়াটিই প্রতারণা। এভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

রোববার রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. কামরুজ্জামান ও নাজির হোসেনকে।

র‍্যাব-৩ এর বিশেষ অভিযানে দুই প্রতারক গ্রেপ্তারের পর জানিয়েছেন তাদের অপরাধ কৌশলসহ নানা তথ্য।

র‍্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস সোমবার জানান, প্রতারকরা সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা নিরীহ মানুষকে মিথ্যা তথ্য ও পরিচয়ে প্রলুব্ধ করে আসছিলেন। ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে তারা বন্ধ করে দেন যোগাযোগ।

প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা প্রতারকদের বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা রয়েছে।

র‍্যাব জানায়, নাজির ও কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। তারা সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভ্রান্ত করেছেন অনেককে। নিশ্চিত চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছেন র‍্যাব কর্মকর্তারা।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার করা দুইজন বন্ধু। নাজির হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। কৌশলে তিনি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর চাকরির বিষয় নিয়ে আলাপ করে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন।

কেউ চাকরির জন্য টাকা দিতে রাজি হলে তাকে নেয়া হয় সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া কামরুজ্জামানের কাছে। তিনি বহু মানুষকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন দাবি করে আলাপ জমিয়ে তোলেন। এরপর সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকেন, তাদেরকে দেয়ার কথা বলে প্রথমে পাঁচ লাখ টাকায় চুক্তি করেন।

টাকা নেয়ার পর প্রার্থীর কাছ থেকে আবেদন ও কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। কিছুদিন পর তার চাকরি চূড়ান্ত দাবি করে নিয়োগপত্র নিতে আরও দুই লাখ টাকা লাগবে বলে জানান প্রতারকরা। এভাবে ধাপে ধাপে টাকা আদায়ের একপর্যায়ে ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন প্রতারকরা। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর