মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।
২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সাতদিনব্যাপী ভার্চুয়াল এই বাণিজ্য সম্মেলনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে এই আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
২৬ অক্টোবর এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘কানেক্টিং দি ইকোনমি অফ টুমরো’।
নয়টি প্রধান সম্ভাবনাময় খাত যেমন অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট ও বস্ত্র, এফএমসিজি এবং রিটেইল ব্যবসার বিদ্যমান সক্ষমতা ও ভবিষৎ সম্ভাবনা এই সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে আলোচিত হবে।
বিশ্বের পাঁচটি বড় অঞ্চল যেমন আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক এবং আফ্রিকার প্রায় ৫০টি দেশ থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশনে অংশ নেবেন।
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাতটি বিষয়ভিত্তিক ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হবে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা, মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, গবেষক, অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদরা অংশ নেবেন। দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ীদের নিয়ে ১৬০টিরও বেশি বিটুবি সেশনের আয়োজন থাকবে এ সম্মেলনে।
আয়োজনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বিশ্বে যখন কোনো সম্মেলন সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে হচ্ছে না, তখন বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে এতগুলো দেশের মাঝে ভার্চুয়ালি তুলে ধরার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে পেরেছে। শুধু বিদেশি উদ্যোক্তারা নন বরং বিদেশে বাস করা বাংলাদেশি ডায়াসপোরাও এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। ব্যবসা-বানিজ্যের পরিবেশ বাংলাদেশে এখন যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ভালো।’
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশ ২০২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে ও পরিবর্তিত ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতি সংস্কার এবং কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়ায় বিশ্বে বাংলাদেশের ওপর আস্থা বেড়েছে।’