বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাসমান ধাপের মাচায় ঝুলছে তরমুজ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৩৪

স্থানীয় ইকবাল কাজী বলেন, ‘আগে জানতাম চৈত্র মাসে তরমুজের চাষ হয়। এখন দেখি বর্ষাকালে নতুন পদ্ধতিতে ধাপের ওপর ভাসমান বেডে চাষ হচ্ছে। আগামীতে আমরাও এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করব।’

তরমুজের মৌসুম পেরিয়ে গেছে আগেই। তবে হানিফের ভাসমান ধাপের মাচায় ঠিকই ঝুলে আছে ফলটি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়িরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক এ বছরই প্রথম এভাবে তরমুজ চাষ করেছেন। পেয়েছেন সফলতাও।

হানিফ নিউজবাংলাকে জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বর্ণি বাওড়ের কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ধাপ তৈরি করে শাকসবজি চাষ করেন। এ বছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে চারটি ভাসমান ধাপে লাগান থাইল্যান্ডের সুইট ব্লাক-টু জাতের তরমুজের চারা।

৫০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট চওড়া প্রতিটি বেডের মাঝে বাঁশ আর নেট দিয়ে করে দিয়েছেন মাচা। সেই মাচায় ঝুলে আছে তরমুজ।

তিনি বলেন, ‘৫০ দিনে তিনশর বেশি তরমুজ ধরছে। ওজন হইছে ২ থেকে ৩ কেজি। প্রতিটা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচতেছি।’

ভাসমান ধাপে অসময়ে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। হানিফের ধারণা, তরমুজ বিক্রি থেকে উঠে আসবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

অন্য চাষিরাও উৎসাহিত হয়েছেন এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে।

স্থানীয় ইকবাল কাজী বলেন, ‘আগে জানতাম চৈত্র মাসে তরমুজের চাষ হয়। এখন দেখি বর্ষাকালে নতুন পদ্ধতিতে ধাপের ওপর ভাসমান বেডে চাষ হচ্ছে। আগামীতে আমরাও এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করব।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় জানান, এতদিন কৃষকরা ধাপের ওপর সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এবার তরমুজ চাষেও সফলতা পাওয়া গেল। এলাকার আরও কৃষক আগামী বছর থেকে এভাবে তরমুজ চাষ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর