দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩২১ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে প্রথম ১৩ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র ছিল উদ্বেগজনক। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৫ জন।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে শুধু ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতেই ভর্তি হয়েছে ২৮৬ জন। অন্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৭৫ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ১২ হাজার ৮৯৬ জন। এখনও ভর্তি রয়েছে ১ হাজার ২৭১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ৮০ ডেঙ্গু রোগী।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগস্টে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মাসের ১৫ দিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২১ বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর সার্বিক বিষয় নিয়ে তথ্য জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু আর কখনও দেখেনি দেশ।
এর আগে ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে। তখন ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।