শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অপরিচ্ছন্ন রাখার অভিযোগে আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে এখনও চিঠিটি হাতে পাননি বলে জানান অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান।
নিউজবাংলাকে সোমবার অধ্যক্ষ বলেন, ‘শুনেছি, একটি চিঠি আমাকে দিতে পারে। তবে এখনও চিঠিটি পাইনি।’
করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজগুলো টানা ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। এদিন আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় স্কুলের একটি রুমে ময়লা দেখে তিনি রেগে যান। সঙ্গে থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাউশির ডিজিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন অফিস সহকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রী সরাসরি আমাদের স্টোর রুমে ঢুকেছেন, সেখানে তো আমাদের ক্লাসই করানো হয় না। এই রুমে আমরা খাওয়াদাওয়া করি, আর অকেজো জিনিস রাখি। রুমে এগুলোই রাখা ছিল। সেটি দেখেই মন্ত্রী জানতে চান, রুমের এ অবস্থা কেন? এরপর উনি চলে গেলেন।’
তিনতলাবিশিষ্ট স্কুল ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, নিচতলার শেষ প্রান্তে একটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। তবে যে কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ময়লা পেয়েছেন, সেটি স্টোররুম। কক্ষের একপাশে গ্যাসের চুলা, খাট ও বেসিন রয়েছে।
স্টোররুমটিতে রোববার অনেক কিছু ছিল, মন্ত্রী চলে গেলে তা পরিষ্কার করা হয় বলে জানান একজন অফিস সহকারী।
স্কুলের প্রভাতি শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘স্টোররুম সাধারণত নোংরাই থাকে। স্কুল খোলার সময় এটি পরিষ্কারের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। শিক্ষার্থীদের যেখানে আনাগোনা সেগুলোই আমরা পরিষ্কার করেছি। অব্যবহৃত জিনিসগুলো আমরা তো ফেলে দিতে পারি না, একটা রুমে তা রাখতেই হবে।’
অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ক্যাম্পাস ও ক্লাসরুমগুলো ঘুরে দেখেন, কত সুন্দর। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর চেয়ে বেশি আর কী লাগে। আমাদের ফল্ট নেই, যেখানে ময়লা পাওয়া গেছে সেটি একটি স্টোররুম। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী যায় না। আর স্টোররুমে ময়লা থাকতেই পারে।’
শোকজের ঘোষণা দিলেও চিঠি না পৌঁছানোর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোকজ করা হয়েছে। শিগগিরই তিনি চিঠি পেয়ে যাবেন।’