বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অন্যের বয়স্ক ভাতা নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:০৩

আনিসুর রহমান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম উঠাতে চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারি, আমার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে। প্রথম কস্তিতে তিন হাজার টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তিতে এক হাজার ৫১০ টাকা একটি মোবাইল নম্বরে দেয়া হয়েছে। অথচ আমি ভাতার টাকা পাচ্ছি না।’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে আরেকজনের বয়স্ক ভাতা নিচ্ছেন শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জসীম উদ্দিন বাবুল। তালিকায় আনিসুর রহমানের নাম থাকলেও টাকা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

৭৯ বছর বয়সী আনসিুর রহমান উপজলোর শেরপুর ইউনয়িনের মরোকোনা গ্রামের বাসিন্দা। ৫০ বছর বয়সী অভিযুক্ত জসীম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর।

তিনি জানান, অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আনিসুর রহমান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম উঠাতে চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারি, আমার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে। প্রথম কস্তিতে তিন হাজার টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তিতে এক হাজার ৫১০ টাকা একটি মোবাইল নম্বরে দেয়া হয়েছে। অথচ আমি ভাতার টাকা পাচ্ছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় আমার নামসহ সব কাগজপত্র লিপিবিদ্ধ থাকলেও মোবাইল নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্য তার নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। তখন তার সঙ্গে গিয়ে আবেদন করেছিলাম। পরে ওই ইউপি সদস্যের কাছে টাকা চাইতে গেলে দেই-দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছেন। ৯ সেপ্টেম্বর এর প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য জসীম উদ্দিন বাবুলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাকিব আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাতার টাকার জন্য আবেদন করার সময় সব কাগজপত্র ঠিক দিলেও অনেকের মোবাইল নম্বর থাকে ভুল। নিজের মেবাইল না থাকায় আত্নীয় স্বজন বা প্রতিবেশীর নম্বর দিয়ে দেন। এর ফলে ভাতার টাকা ওইসব মোবাইল নম্বরে গেলেও প্রকৃত ব্যক্তি পাচ্ছেন না। পরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন টাকা অন্যের নম্বরে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘টাকা না পাওয়ার অভিযোগ মাঝে মধ্যেই পাচ্ছি। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা প্রতারণা করে নিজের নম্বর দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা তালিকাভূক্তদের টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর