বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিইসি, জেএসসি বাদ, এসএসসিতে থাকছে না বিভাগ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:২৮

১০ শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে। সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে শিক্ষার্থীরা। অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্যে বিভাজন হবে উচ্চমাধ্যমিক থেকে।

প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণি সাময়িকী পিইসি, অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত এসেছে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হচ্ছে। একটি সমন্বিত পাঠ্যক্রম থাকবে এই পর্যায়ে।

সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘নবম-দশম শ্রেণিতে যে বিভাজনটি থাকে বিভিন্ন গ্রুপে মানবিক, বিজ্ঞান বা ব্যবসা সেটি আর থাকবে না। এই দুই ক্লাসে বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরির একটি ট্রেড তারা শিখবে এবং দক্ষতা তারা অর্জন করবে।

‘একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির পর প্রতিবছর একটি করে পরীক্ষা হবে। এই দুই শ্রেণির ফলাফলের সমান্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল দেয়া হবে। অর্থাৎ একাদশের পরে একটি পরীক্ষা হবে আর দ্বাদশের পরে আরেকটি পরীক্ষা হবে। দুটির ফল মিলিয়ে এইচএসসির ফল হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাস নাইন ও টেনে আলাদা বই হবে। বিভাগ থাকছে না। যে ১০টি সাবজেক্ট আছে সবাই সেগুলো পড়বে।’

দীপু মনি জানান, পিএসসি ও জেএসসির মতো পরীক্ষাগুলোও নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে না। চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রত্যেক ক্লাসেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী পরীক্ষা। একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার বেশ কয়েকটি স্তরে শিক্ষার্থীদের সনদও দেয়া হতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যাবে হয়তো প্রাথমিকের শেষে একটা সনদ পেল, ক্লাস এইট শেষে সনদ পেল। তার মানে এই না যে, পাবলিক পরীক্ষা দিয়েই সনদ দিতে হবে। বিদেশে তো প্রাক প্রাথমিক শেষ করেও বাচ্চাদের একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান হয়।

‘সনদ দিয়ে যদি একজন শিক্ষার্থী উদ্বুদ্ধ হয় তাহলে তো দেয়াই যায়। তবে সনদের জন্য শিক্ষা নয়, আমরা পারদর্শিতাটা নিশ্চিত করতে চাই এবং প্রতিটি পর্যায়ে তারা যে পারদর্শিতা অর্জন করেছে সে অনুযায়ী স্বীকৃতিও দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৫ম বা ৮ম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি। তবে সেগুলোতে ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মূল্যায়ন হবে। আমরা বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যেখানে যেখানে সনদ দেয়া প্রয়োজন দেবো। প্রত্যেক ক্লাসেই সমাপনী থাকবে। শুধু ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ ছাড়া, সব ক্লাসেই সমাপনী পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে কিছুটা ধারাবাহিক মূল্যায়ন কিছুটা সামষ্টিক মূল্যায়ন।’

মন্ত্রী জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়নেও গুরুত্ব দিয়েছি। কোথায় কোথায় কোন কোন পর্যায়ে কতটুকু হবে তাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আমাদের যে প্রস্তাবনা তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা আগামী বছর পাইলটিং করব। প্রাথমিকে একশ প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ক্ষেত্রে একশটি প্রতিষ্ঠানে। মাদ্রাসা ও কারিগরিও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

‘ছয় মাস পাইলটিংয়ের পরে বিশ্লেষণ করে ২০২৩ সাল থেকে আশা করছি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এটি চালু হবে আর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে চালু হবে। আর পাইলটিং যেটি আগামী বছর করব সেটি হবে প্রাথমিকে ১ম শ্রেণি ও মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে। ২০২৪ সালে ৪র্থ-৫ম শ্রেণি আর ৮ম-৯ম শ্রেণি হবে। ২০২৫ সালে এদিকে ৫ম ও ওদিকে ১০ম শ্রেণি অর্থাৎ ইম্প্রিমেন্টেশনটা হয়ে যাবে। এটি বাস্তবায়নে যা যা প্রয়োজন সে বিষয়টি আমরা জানিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর