বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুল খোলার খবরে ভাঙা হাত নিয়ে হাজির জিহান

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০২:৩৩

বাবা শাহিদুল বলেন, দুই সপ্তাহ আগে মাঠে খেলতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে জিহানের বাম হাত ভেঙে যায়। এখনও তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। স্কুল খোলার খবরে অন্যান্য বাচ্চাদের স্কুল আসা দেখে সেও স্কুল যাবার বায়না ধরে। অনেক বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সে ভাঙা হাত নিয়ে বিদ্যালয়ে যাবেই।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের বুড়িরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র জিহান। বিদ্যালয় সংলগ্ন শাহিদুল-জেসমিন দম্পতির সন্তান সে।

পাঠদান শুরু হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাঙা হাত নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছে জিহান। মা-বাবার বারণ জিহানকে স্কুলে আসা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

শাহিদুল বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে জিহানের বাম হাত ভেঙে যায়। এখনও তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে।

বিদ্যালয় খোলার খবরে অন্যান্য বাচ্চাদের স্কুল আসা দেখে সেও স্কুল যাবার বায়না ধরে। অনেক বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সে ভাঙা হাত নিয়ে বিদ্যালয়ে যাবেই।

বুড়ির ভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরন্নবী বলেন, বিদ্যালয়ে মোট ১৯০ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক। সব ক্লাসের শিক্ষার্থীদের আসার নির্দেশনা না থাকলেও, প্রতিটি ক্লাসের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের রোববার ক্লাস নেই, তাদের ক্লাস রুটিন দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

দলদলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোন্নাফ আনছারি জানান, প্রথম দিন বিদ্যালয়ে মোট ১৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ শতাংশ উপস্থিত হয়েছে। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বেড়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রৌমারী উপজেলার কুটির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৬ জন এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৬ জনের মধ্যে ৩২ জন উপস্থিত ছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলোয়ারা সিদ্দিকা পাঠদানের প্রথম দিনেই উপস্থিতির কম হবার বিষয়ে বলেন, বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও সব অভিভাবকদের কাছে সংবাদ পাঠিয়েছি। আগামীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে সেগুলোও বিকল্প ব্যবস্থা পাঠদান শুরু হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, স্বতঃস্ফূতভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এসেছে। সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান পরিচালিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি দেখা গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এসে পড়ায় তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে শিক্ষকদের।

এ বিভাগের আরো খবর