বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের ন্যায্যমূল্য চাইল বিজিএমইএ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:২৪

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি ও ক্রেতাদের বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকরা ও সরকার নিজেদের পোশাকশিল্পকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিগত বছরগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল এখন বাংলাদেশে। পাশাপাশি শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের ন্যায্যমূল্য চেয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে দেশটির তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সঙ্গে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বাংলাদেশের পোশাকের শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘রানা প্লাজার সাত বছর পর: কে কী করেছে’ শীর্ষক আলোচনায় ফারুক হাসান এ দাবি জানিয়েছেন বলে রোববার বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি একটি নিরাপদ বৈশ্বিক বাজার (যেখানে কর্মক্ষেত্র ও চাকরি নিরাপদ ও টেকসই হবে) প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের দামের ক্ষেত্রে আরও যুক্তিসংগত হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ক্রমবর্ধমান হারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন ব্যয় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের পোশাকের মূল্য প্রতিবছর কমছে।

‘যদিও এটি সত্য যে, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মূল্য নির্ধারণ করা যায় না, তারপরও সামাজিকভাবে নৈতিকতা মেনে পণ্য উৎপাদনের জন্য কেউ কম দামের যৌক্তিকতা দিতে পারেন না।’

তিনি বলেন, ‘ব্র্যান্ড এবং আমাদের সরবরাহকারীদের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব অব্যাহত থাকবে।’

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসনসহ ফেডারেল সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, টেক্সটাইলবিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি উইলিয়াম জ্যাকসন, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পরিচালক জেনিফার লারসন, পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের পরিচালক মরিন হ্যাগার্ড, বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক ফারুক সোবহান, বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী, ম্যাকলার্টি অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিনিধি টেরেসিতা শ্যাফার, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধি, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন, ওয়ালমার্ট এবং টার্গেটের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি ও ক্রেতাদের বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকরা ও সরকার নিজেদের পোশাক শিল্পকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিগত বছরগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল এখন বাংলাদেশে। পাশাপাশি শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ফারুক হাসান যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসীদের বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পে, বিশেষ করে নন-কটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

একটি সমন্বিত আচরণবিধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘একাধিক নিরীক্ষা কেবল সময় ও অর্থেরই অপচয় করে না; প্রতিষ্ঠানের কমপ্লায়েন্সকেও জটিল করে তোলে।’

যুক্তরাষ্ট্রে রাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত ও শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ ও উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।

এএএফএ সভাপতির সঙ্গে বৈঠক

সফরকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও সহসভাপতি মিরান আলী আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন লামারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় এএএফএ এবং অন্যান্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক স্বার্থ উন্নয়নে এএএফএর সহায়তা কামনা করেন।

ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বছরের পর বছর ধরে নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার-কিউআইএমএ তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।

তিনি এএএফএকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও টেকসই পোশাক-সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তার সদস্যদের মাঝে প্রচারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি নন-কটন পণ্যসহ আরও বেশি পরিমাণে তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে কেনার জন্য এএএফএ সদস্যদের উৎসাহিত করতে অ্যাসোসিয়েশনটিকে অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর