বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গণমাধ্যমে নৈতিকতার চর্চা জরুরি’

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:১৬

সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন সজীব সরকার বলেন, ‘নৈতিক সাংবাদিকতার বিষয়টি অনেকটাই সাংবাদিকের ব্যক্তিচরিত্রের ওপর নির্ভর করে। অনেকেই যেমন নানা কারণে সাংবাদিকতার এথিকস উপেক্ষা করছেন, কেউ কেউ আবার অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন।’

সব পেশার জন্যেই একটি নৈতিক বিধিমালা থাকে; সাংবাদিকতারও রয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমে এসব বিধিমালা সবসময় মানা হয় না। নীতিমালা শুধু থাকলেই হবে না, এগুলো মানতেও হবে। রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে গণমাধ্যম সংযোগ স্থাপন করে বলে তাদের মধ্যে নৈতিকতার চর্চা খুব জরুরি।

রোববার সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ আয়োজিত ‘মিডিয়া এথিকস অ্যান্ড কোড অব কনডাক্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ড. রিজওয়ান উল আলম।

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির সাম্প্রতিক ঘটনাসহ আরও অনেক ঘটনার খবর বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের নৈতিকতার বিষয়গুলো নিয়ে ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকতার নৈতিক ভিত্তি ও তা চর্চার বাস্তবতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের করা প্রশ্নের উত্তরে ড. রিজওয়ান উল আলম বলেন, প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের জন্যে যে নৈতিক বিধিমালা প্রস্তাব করেছে, তা কোনো আইন নয়। ফলে এগুলো মেনে চলার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। নৈতিকতার বিষয়টি সাংবাদিকের নিজের সদিচ্ছার ওপরও অনেকখানি নির্ভর করে। এ জন্যে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান- উভয়কেই আসলে দায়িত্বশীল হতে হবে। আর গণমাধ্যম যখন তার কর্মীদের আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে পারে না, তখন অনেক ক্ষেত্রে নৈতিকতার ব্যত্যয় ঘটে, তবে শুধু আর্থিক কারণই একমাত্র কারণ নয়। গণমাধ্যমের রাজনৈতিক-অর্থনীতি বোঝাটা এখানে জরুরি।ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান বলেন, আমরা সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। তবে শুধু স্বাধীনতা চাইলেই হবে না, এখানে দায়িত্বশীল হওয়ারও দরকার রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেক সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করেই বড় হয়েছে।

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন সজীব সরকার বলেন, ‘নৈতিক সাংবাদিকতার বিষয়টি অনেকটাই সাংবাদিকের ব্যক্তিচরিত্রের ওপর নির্ভর করে। অনেকেই যেমন নানা কারণে সাংবাদিকতার এথিকস উপেক্ষা করছেন, কেউ কেউ আবার অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন। এ পেশায় সাংবাদিকতা বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করা ছেলে-মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে; এতে গণমাধ্যমের সার্বিক চিত্র ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচকভাবে বদলাবে।’সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের নৈতিকতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের আলোচনা নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান বাড়াবে এবং তাদের উৎসাহিত করবে। এ ধরনের বিষয়ে এমন আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও দরকার। এমন আলোচনা থেকেই ভবিষ্যতে এসব সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে।

এ বিভাগের আরো খবর