মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনে রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত রেঞ্জিয়ে টেরনিক। সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা করেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হওয়ায় বিদায়ী দূতকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবে বলেও আশা করেন রাষ্ট্রপতি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহযোগিতা দেয়ায় ইউরোপী ইউনিয়নকে দূতের মাধ্যমে ধন্যবাদ দেন রাষ্ট্রপ্রধান। আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা তার।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদায়ী দূত। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান টেরনিক।
সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান।