ভাড়া না থাকায় লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে দুটি নয়, চার শিশুকে ফেলা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান রোববার রাত আটটার দিকে সদর থানায় সেই এমভি ইমাম হোসেন-৫ লঞ্চের সব স্টাফকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন শনিবার জানান, বেলা ১১টার দিকে স্পিডবোটে মেঘনা নদী পার হওয়ার সময় দুই শিশুর চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে নেয়া হয়। পরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক নামের একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেয়া হয়।
শিশুরা পুলিশকে জানায়, তারা লঞ্চে পানি বিক্রি করে। এমভি ইমাম হোসেন-৫ লঞ্চে তারা ঢাকা থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিল। ভাড়া না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের লঞ্চ থেকে ফেলে দেয়।
রোববার লুৎফর রহমান নিশ্চিত করেন, সেদিন দুটি নয়, চারটি শিশুকে ভাড়া না থাকায় ফেলে দেয়া হয়েছিল। দুই শিশুর বাড়ি নোয়াখালীতে এবং বাকিদের গাইবান্ধা ও কুমিল্লায়। মামলাটি নৌপুলিশ তদন্ত করবে।
তবে ফেলে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লঞ্চের মাস্টার দেলোয়ার হোসেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাড়ার জন্য বাচ্চাদের মারধর করলে যাত্রীরা দেখত না? যাত্রীরা কি ছাড় দেব? আর এ রকম অনেক ছোট ছোট বাচ্চা যায়, আমরা কখনও ভাড়া চাই না।
‘এই বাচ্চাগুলো লঞ্চে কখন লাফ দিছে আমরা জানিও না। কয়েকজন যাত্রী আইসা অনেকক্ষণ পর বলল যে তারা কিছু পোলাপাইনরে লঞ্চের থেকে লাফ দিতে দেখছে। ততক্ষণে আমরা অনেক দূর চলে আসছি। আমরা কোনো শিশুরে ধাক্কা দিই নাই।’