দেশের সব অঞ্চলে সুষমভাবে শিল্পকারখানা স্থাপনকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১ প্রণীত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
রোববার ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এ ব্যক্তি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
মন্ত্রী জানান, প্রণীত শিল্পনীতিতে বেসরকারি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র, কুটির ও গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, ক্যাপিটাল পণ্য শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে একটি দক্ষ ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব রকম সুযোগ রাখা হবে।
থাকবে গবেষণার মাধ্যমে শিল্প খাতে দেশীয় প্রযুক্তির বিস্তার এবং স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়তে রপ্তানিমুখী ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রসারের উদ্যোগ। যেসব উদ্যোগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শিল্প দর্শন তথা অভ্যন্তরীণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন শিল্পনীতি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এতে ব্যক্তি খাতের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য শিল্পপণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্যে সহায়তা, নতুন, যোগ্য ও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা সৃষ্টিকল্পে সহায়ক ভৌত সুবিধাদি প্রাপ্তিতে সহায়তা করা এবং স্টার্টআপ ফাইন্যান্সিং, ক্রেডিট গ্যারান্টি ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে এসএমই খাতের প্রসারকে ত্বরান্বিত করা হবে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার সফলতার পরিচয় দিয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় এবং টিকা প্রদান কর্মসূচি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। প্রস্তাবিত জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এ বেসরকারি তথা ব্যক্তি খাতের প্রত্যাশা পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। দেশ ও জনগণ এর সুফল ভোগ করবে।
অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের শিল্প খাতে যে শ্রমিকবান্ধব ব্যক্তি খাতনির্ভর শিল্পায়ন এবং উৎপাদনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সফল বাস্তবায়নকে মূল উপজীব্য করে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতা অর্জন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ত্বরান্বিত হবে।
ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেন আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হুসনে আরা শিখা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন প্রমুখ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সলিম উল্লাহ।