মানিকগঞ্জ পৌরসভার একটি ভাড়া বাসা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু এর এক দিন পর ওই তালা ভেঙে কক্ষে ঢুকে আসবাব ও জামাকাপড় এলোমেলো করেছে কে বা কারা। এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ওই বাসায় গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ওই এলাকার কিতাব আলীর বাড়ি নিচতলা থেকে গৃহবধূ বিলকিস আক্তারের হাত-মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিলকিস পুলিশ সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী।
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টের পর ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।
বিলকিসের প্রতিবেশী আফরোজা বেগম। তিনি জানান, সকালে রুমে তালা দিয়ে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার লাবণ্য ও ছেলে লাবিল হোসেনকে নিয়ে কোচিংয়ে যান। কোচিং শেষে মেয়ে ও ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবেশীরা তাকে তালা ভাঙার বিষয়টি জানালে বাসায় এসে দেখেন রুমের ভেতরের জিনিসপত্র এলোমেলো ও আসবাব ছড়িয়ে রয়েছে। একই চিত্র ছিল বিলকিসের রুমেরও। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ভাস্কর সাহা বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই।’