বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পছন্দের হাসপাতালে নিয়োগ: ফোনের চাপে নাজেহাল ডিজি

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:২৮

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনাদের যে জায়গায় নিয়োগ দেয়া হবে, সেই জায়গাতেই কাজ করবেন। সেই জায়গা থেকে সার্ভিস দিয়ে যাবেন। কারও কারও অসুবিধা হবে প্রথম পোস্টিংয়ে, দ্বিতীয় পোস্টিংয়ে। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনা চলমান, এ কারণে একটু সমস্যা হতে পারে। তবু আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনাদের যেখানে নিয়োগ দেয়া হবে, সেখানেই কাজ করবেন।’

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকসংকট নিরসনে সম্প্রতি ষষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই চিকিৎসকেরা নিজেদের পছন্দের হাসপাতালে কর্মস্থল পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমকে ফোনের পর ফোন করে জর্জরিত করে তুলেছেন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নতুন নিয়োগ পাওয়া জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিওলজি) ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রোববার দুপুরে সে কথা জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজে।

আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘এই নিয়োগের আগে পরে আমাদের কাছে অজস্র টেলিফোন আসছে, যে, আমাকে অমুক জায়গায় নিয়োগ দেয়া হোক, আমাকে যেন তমুক মেডিক্যালে নিয়োগ দেয়া হয়, আমি অমুক জায়গায় যাব না, অমুক জায়গাতে কাজ করব না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব: আপনাদের যে জায়গায় নিয়োগ দেয়া হবে, সেই জায়গাতেই কাজ করবেন, সেই জায়গা থেকে সার্ভিস দিয়ে যাবেন। কারও কারও অসুবিধা হবে প্রথম পোস্টিংয়ে, দ্বিতীয় পোস্টিংয়ে। আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনা চলমান রয়েছে, এ কারণে একটু সমস্যা হতে পারে। তবু, আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনাদের যেখানে নিয়োগ দেয়া হবে, সেখানেই কাজ করবেন।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘৪০৯ জন নতুন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই। আমি সেই দিনটার কথা মনে করতে চাচ্ছি, যেদিন আমরা এই নিয়োগের কাজ শুরু করেছিলাম। অধ্যাপক খলিল স্যারের নেতৃত্বে যে টিমটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে দেখা করেছিল, সেখান থেকেই সূচনা। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এবং পিএসসি হয়ে এই নিয়োগ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ে আমরা অনেক ভুগেছি। আমাদের অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের যে সার্ভিস আমরা পেয়েছি, এর জন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। করোনার বাইরেও সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা একটি বিশাল ব্যাপার। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের রংপুরের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আমি পরিদর্শন করেছি। এসব হাসপাতালে কোথাও গাইনি সার্জন নেই, আবার অ্যানেসথেসিজিস্ট নেই। সেই সংকট কাটাতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের উদ্দেশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখানে নিয়োগের আগেই আপনারা ঢাকার ভালো ভালো হাসপাতালে কাজ করেছেন। এখন হয়তো দেশের বিভিন্ন জেলায় আপনাদের নতুন কর্মস্থল হবে। সেখানে অনেক কিছু আপনাদের নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে এবং সেটা হচ্ছে আপনাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আপনাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব যদি আপনি ঠিকভাবে পালন করেন, সেটা হবে আপনাদের দেশপ্রেম।’

এতদিন অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসকের অনুমোদিত ৬০৮টি পদের বিপরীতে মাত্র ৩০ জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। তবে করোনা মহামারির কথা বিবেচনা করে একই সাথে ষষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এই পদে ২০২০ সালে ১৬৯ জন চিকিৎসককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। সে সময় উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় অবশিষ্ট ৪০৯টি পদ শূন্য থেকে গেছে।

গত ৭ জুলাই, ৪০৯টি শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে অনুরোধ করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মহাপরিচালক জানান, বেশ কিছু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে হলেও অল্প সময়ে এই বিশালসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর